শুভেন্দু বুঝি শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি উল্টা ঘুরে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু। এবার দলের আরও এক বিক্ষুব্ধ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতৃত্ব।রবিবার সকালে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত আছেন তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্যাটোসিস্ট প্রশান্ত কিশোরো।




 সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি দলে থেকে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দলের আরেক সময়ের নির্ভর যোগ্য নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । দিন কয়েক আগেই কলকাতার একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, থেকে যোগ্যতা সঙ্গে কাজ করার পরও পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে তাকে। দুর্নীতিগ্রস্ত অসচ্ছ, কুরুচিকর শুধু স্তাবক বলেই সামনের সারিতে আনা হচ্ছে। ঐ মঞ্চে খুব ঘুরে দিয়ে থেমে থাকেননি তিনি। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকেই একজন হবার ডাক দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাবের শীতবস্ত্র প্রদান এর মঞ্চ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখন সময় এসেছে যে লোকগুলো মানুষ পছন্দ করেনা, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে'।

 



'প্রতিবাদের আওয়াজ'তুলতে গিয়ে সামনে যদি রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা আসে তাহলেও প্রতিবাদ এরপর থেকে তিনি সরবেন না। এই ঘোষণা করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তিনি ও রাজনৈতিক মঞ্চে এমন বিতর্কিত বক্তব্য রাখলেন? নিজেই এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। ডোমজুড়ের বিধায়ক বলেন,'খারাপ লাগে যখন যোগ্যতার সঙ্গে কোথাও কাজ করার চেষ্টা করেছি, কাজ করেছি, জানিনা, কোথায় কি হয়েছে! সুন্দর সুন্দর পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। স্তাবকদের সামনের সারিতে আনা হয়েছে। এগুলি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। বলে বুঝাতে পারবেন না সেই যন্ত্রণা।'


শুধু যে এখানেই থেমে ছিলেন তা নয়।সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর মতোই কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় রাজিবের নামে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা ছিল 'আমরা দাদার অনুগামী' বা 'কাজের মানুষ কাছের মানুষ'। এদিনের বৈঠকের ফল কতটা ফলপ্রসূত হয় সেটাই দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।



কমেন্ট বক্সে মতামত জানান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন